বিশেষ প্রতিনিধি
শহরের বকচর হুশতলা চক্ষু হাসপাতালের পাশে চারুলতা নামক ভাড়া বাসার সামনে থেকে মাদ্রাসা ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া ওরফে মারিয়া অপহরনের ২০দিন পর পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ সময় অপহরনের সহযোগী এজাহার নামীয় আসামী মুক্তাদির হোসেন ওরফে টগরকে গ্রেফতার করে। সে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার হাবুল্লাহ খন্দকার পাড়ার মৃত খন্দকার মকবুল হোসেনের ছেলে। শনিবার ২৯ জানুয়ারী অপহৃতা মারিয়াকে ২২ ধারা জবানবন্দির জন্য ও এজাহার নামীয় আসামী টগর খন্দকারকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
যশোরে বাঘারপাড়া উপজেলার হাবুল্লাহ বর্তমানে যশোর শহরের বকচর হুশতলা চক্ষু হাসপাতালের পাশে চারুলতা বাসার ভাড়াটিয়া মৃত শেখ শাহাবুদ্দীনের ছে’েল সাহিদুর রহমান গত ২১ জানুয়ারী কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দিয়ে বলেন, আসামী প্রতিবেশী খন্দকার আলী হোসেনের ছেলে মিরাজুল ইসলাম ও শাকিল হোসেন ও একই এলাকার মৃত খন্দকার মকবুল হোসেনের ছেলে টগর খন্দকার বাদির প্রতিবেশী ও পাশাপাশি বাড়ি। বাদির মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (১৭) বছরের দাখিল পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছে। আসামী মিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বাদির মেয়েকে আজে বাজে কথা বার্তা বলাসহ বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। বাদির মেয়ে আসামী প্রস্তাবে রাজী না হলে বাদি আসামীকে এ ধরনের কথা বার্তা না বলতে অনুরোধ করে। আসামী কর্ণপাত না করে মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্যক্ত ও আজেবাজে কথা বার্তা বলার এক পর্যায় গত ৮ জানুয়ারী সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার পর বাদির মেয়ে মারিয়া প্রয়োজনীয় কাজে বকচর হুশতলার ভাড়া বাসা হতে নেমে বাইরে আসে। পূর্ব হতে ওৎপেতে থাকা আসামীরা একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে তুলে বাদির মেয়েকে মুড়োলীর দিকে চলে যায়। এ ঘটনায় ২৮ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেল ৩ টার পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে টগর খন্দকারকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেখানো মতে বিকেল পৌনে ৪ টায় অপহৃতা মারিয়াকে সদর উপজেলার রাজারহাট রামনগর গ্রামের ইসমাইল হাজীর বাড়ি হতে উদ্ধার করে। টগর আসামী মিরাজুল ইসলামের প্রতিবেশী চাচা।