যশোরে আমেরিকা প্রবাসী যৌতুকের দাবিতে মারপিট আদালতের আদেশে থানায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি
আমেরিকা প্রবাসী স্ত্রীর কাছে যৌতুকের মোটা অংকের টাকার জন্য মারপিট ও কোলের শিশু বাচ্চা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় আসামী করা হয়েছে আমেরিকা প্রবাসী গৃহবধূর স্বামী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জাগুসা গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আসাদুজ্জামান।
যশোর সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের কাজী মিলন আহমেদ এর মেয়ে কাজী সুমি আহমেদ বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ যশোর আদালতে গত ১৩ জানুয়ারী পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যার নং ০৫/২০২২। পিটিশনে উল্লেখ করেন, বাদিনী একজন আমেরিকা প্রবাসী। আসামী দূর্দান্ত পরসম্পদ লোভী,যৌতুক লোভী ও নারী নির্যাতনকারী আইন অমান্যকারী প্রকৃতির লোক। গত ২৫/০৩/১৬ ইং ২০ লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য্যে বাদিনীর সাথে আসামী আসাদুজ্জামানের মুসলিম শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। তাদের ঘর সংসার করাকালে আসামীর ঔরসে ও বাদিনীর গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করেন। যার নাম আইয়ান বয়স ১১ মাস। স্বামী আসাদুজ্জামান যৌতুকের ১০লাখ টাকার জন্য স্ত্রী বাদিনীর উপর চাপ প্রয়োগ করে। বাদিনী বাধ্য হয়ে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত (সদর) যশোর এ সিআর মামলা নং ২২১১/২১। ধারা যৌতুক নিরোধ আইনে ৩ মতে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার ব্যাপারে স্বামী আসাদুজ্জামান জানতে পেরে বাদিনীর খালা পিটিশনের ২ নং স্বাক্ষী নাসরিন সুলতানাকে মিমাংসার কথা বলে। বাদিনীর খালা আসাদুজ্জামানকে মিমাংসার জন্য তার বাসায় আসতে বলে। গত ১ জানুয়ারী নাসরিন সুলতানার বাসায় বাদিনী অবস্থানকালীন সময় বাদিনীর খালার বাসায় দুপুর ১ টায় আসাদুজ্জামান প্রবেশ করে। প্রবেশ করার পরপর বাদিনীকে পূর্বের দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে হুমকী দেয়। বাদিনী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসাদুজ্জামান বাশের লাঠি দিয়ে শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। বাদিনীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামী আসাদুজ্জামান দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্বাক্ষীগন বাদিনীকে আহত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখান থেকে বাদিনী থানায় গেলে থানা পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করলে বাদিনীর আদালতের স্মরনাপন্ন হলে আদালত বাদিনীর পিটিশন আমলে নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে মামলা নিতে আদেশ প্রদান করেন। থানা পুলিশ শনিবার ১৫ জানুয়ারী রাতে মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেন