যশোর প্রতিনিধি
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার উদ্যোগ ও নবাগত সিভিল সার্জনের ব্যবস্থাপনায় যশোরে স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা টিকা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রথম ডোজের কার্যক্রম শেষ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। শনিবার ১৫ জানুয়ারী থেকে যশোর সদরে প্রতিদিন তিনটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার এ,কে,এম গোলাম আজম জানান,গত ১৯ ডিসেম্বর যশোর জেলায় স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। যশোর জেলায় মোট ২লাখ ৪৯ হাজার ৪শ’ ৩৬জন শিক্ষার্থীদের টার্গেট নিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। যশোর সদর উপজেলায় ৬ টি ও জেলার ৭টি উপজেলায় ২টি করে মোট ১৪টি কেন্দ্র স্থাপন করে টিকা কার্যক্রম শুরু করেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার উদ্যোগে ও জেলার নবাগত সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপ্লব কান্তি বিশ^াসের সহযোগীতা ও বাস্তবায়নে জেলা ২০ কেন্দ্র স্থাপন করে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ হিসেবে টিকা দেওয়া শুরু হয়। ইতিমধ্যে যশোর জিলা স্কুল, সরকারী বালিকা বিদ্যালয়, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ,সরকারী মহিলা কলেজ ও পদ্মবিলা মাদ্রাসায় কেন্দ্র স্থাপন করে সেখানকার শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের ১ম ডোজ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যশোর জেলায় ৮ উপজেলায় করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে ৫২ হাজার ১শ’ ৫৮জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাদের সংখ্যা ১৭ হাজার ৬শ’ ৬০জনকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। তারা দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। তাছাড়া,স্কুল কলেজের ৩ হাজার ১শ’ ২৬জন শিক্ষার্থীরা এ সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন। মাদ্রাসার ২ হাজার ১শ’ ৬৪জন শিক্ষার্থী ১ম ডোজ সম্পন্ন করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ১৩ জানুয়ারী পর্যন্ত যশোর জেলায় গড়ে ওঠা স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ৫৭ হাজার ৪শ’ ৪৮ জন শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসে টিকা দেওয়া হয়েছে। বাকী রয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৯শ’ ৮৮জন শিক্ষার্থীরা টিকা নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন। যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম গোলাম আজম জানান, শনিবার ১৫ জানুয়ারী সকাল থেকে যশোর বিসিএমসি কলেজ প্রাঙ্গন,পদ্মবিলা ও মডেল পলিটেকনিক কলেজে কেন্দ্র স্থাপন করে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া কার্যক্রমন শুরু হয়। এদিন ৭ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়। যশোরের নবাগত সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপ্লব কান্তি বিশ^াস জানান, শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদানে তিনি সোচ্চার রয়েছেন। তিনি যশোর সদর উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলায় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় কেন্দ্র স্থাপন করলে স্বাস্থ্য বিভাগের জনবল দিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা দেওয়ার জন্য যথাযথ ভূমিকা নিতে অগ্রনী ভূমিকায় থাকবেন। তিনি আরো বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের টিকা পর্যাপ্ত রয়েছে। শুধু করোনা ভাইরাসের টিকা একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা হয়। টিকা সংকট নেই। আনার ক্ষেত্রে যথাযথ পরিবহনের প্রয়োজনীয়তা। যশোরের সব ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা যাতে করোনা ভাইরাসের দু’টি ডোজ টিকা পাই তার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম গোলাম আজম ও সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপ্লব কান্তি বিশ^াস সোচ্চার রয়েছেন।#