যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ্যে যশোর শহরের মোমিন গার্লস স্কুলের সামনে থেকে স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে অপহরণের ১৩ দিন পর কোতয়ালি মডেল থানায় একজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন যশোর যশোর শহরের ঘোপ জেলরোড পানির ট্যাংকির সামনে জাহিদ হাসানের স্ত্রী রেশমা বেগম। আসামী করেছেন শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবার মোড়ের লাল মিয়া হোসেনের ছেলে ইমন মোহাম্মদসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন। পুলিশ শুক্রবার ১৪ জানুয়ারী রাতে ইমন মোহাম্মদকে গ্রেফতার ও অপহৃতাকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলায় অপহৃতা স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীর মাতা উল্লেখ করেন, তার মেয়ে যশোর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। আসামী ইমন মোহাম্মদ বাদির পূর্ব পরিচিত ও তার স্বভাব চরিত্র ভালনা। ইমন মোহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে বাদির মেয়ের প্রতি কু-দৃষ্টিসহ বাড়ির আশে পাশে এমনকি স্কুলে যাতায়াতের পথে বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের জন্য ফুসলাতে থাকে। বিষয়টি স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থী তার মা বাদীকে জানালে ইমন মোহাম্মদকে বাধা নিষেধ করে। এতে কর্নপাত না করে বাদির মেয়ের প্রতি আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়। আসামী বাদির মেয়েকে অধিক মাত্রাই উত্যক্ত করার এক পর্যায় গত ৩ জানুয়ারী বিকেল সাড়ে ৪ টায় বাদির মেয়ে কোচিং করে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার সময় যশোর পৌরসভার কাছে সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে পৌছালে ইমন মোহাম্মদসহ তার অজ্ঞাতনামা ২/৩জন সহযোগী একটি সাদা মাইক্রোবাসে বাদির মেয়ের চলাচলের পথে গতিরোধ করে। বিয়ের জন্য ফুসলিয়ে অপহরণ করে যশোর শহরের দিকে নিয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ে স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থী বাড়িতে না ফেরায় বাদিসহ তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির এক পর্যায় জানতে পারেন ইমন মোহাম্মদসহ তার অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হওয়ার পর শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শংকরপুর চোপদার পাড়া আকবরের মোড় এলাকা থেকে ইমন মোহাম্মদকে গ্রেফতার ও তার দখলে থাকা অপহৃতা স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে । শনিবার গ্রেফতারকৃতকে আদালতে সোপর্দ ও কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্নসহ আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দি প্রদানের জন্য প্রেরণ করেন।