যশোর অফিস
যশোর রামকৃষ্ণপুর মৌজার জমি জালিয়াতি করে লিখে নেয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তাসহ দুইজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আমামিরা হলো যশোর সদরের ইছালী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ও রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত এমারত মোল্যার ছেলে শামসুল হক মোল্যা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, অহেদ আলী জীবিত থাকা কলে তার ছেলে নজরুল ইসলাম ১০২৮ দাগের ৪৬ শতক জমির মধ্যে ২০০০ সালের ২ জানুয়ারি ৯ শতক জমি কেনেন। একই দাগের ৩ শত জমি ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি অপর ছেলে জিয়াউর রহমান বিক্রি করেন একই গ্রামের ইজাহার আলীর কাছে। এরআগে ১৯৯২ সালে অহেদ আলী একই দাগের ৬ শতক জমি শামসুল হকের নামে দলিল করে দেন। ৯১ সালে তিনি আসামি শামসুল হক মোল্যার নামে দলিল করে দেন ৭ শতক জমি। শামসুল হক মোল্যা জালিয়াতির মাধ্যমে সকল দলিল পরিবর্তন করে নিজের নামে দলিল তৈরী করে নেন। এরপর ভুমি সহকাী কর্মকর্তা আব্দুর রজ্জাককে ম্যানেজ করে জাল দলিলে স্বাক্ষর করে নামজারি কেসের মাধ্যমে ওই দাগের ৩০ শতক জমি নামত্তন করে নেয়। আসামি শামসুল হক গত বছরের ২৩ নভেম্বর এ দাগের ৩০ শতক জমি তার বলে দাবি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ১ ডিসেম্বর ভুমি অফিস থেকে কাজগ-পত্র তুলে জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।