কেশবপুর প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরে ইউনিয় নির্বাচনে মারপিটের ঘটনায় ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে দুইটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার কন্দর্পপুর গ্রামের হাশেম আলী গোলদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও শেখ আব্বাস আলীর ছেলে আমজানুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগ দুইটি গ্রহন করে কেশবপুর থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করার আদেশ দিয়েছেন।
শফিকুল ইসলামের মামলার আসামির হলো মঙ্গলকোট গ্রামের আকরাম মোড়লের ছেলে আজিজুর রহমান, মৃত আব্দুল আজিজের েেল শহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর কাদের বিশ্বাসের ছেলে ইনজামুল বিশ্বাস, মৃত নওশের বিশ্বাসের ছেলে নুরোল ইসলাম, বড়েঙ্গা গ্রামের মৃত জাফর দাইয়ের ছেলে ছাত্তার দাই, কন্দর্পপুর গ্রামের শরিফুল মোড়লের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস, আজিজ মোড়লের ছেলে আব্দুর রজ্জাক মোড়ল ও মজিবর সানার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান।
আমজানুর রহমানের মামলার আসামিরা হলো মঙ্গলকোট গ্রামের আহকাম মোড়লের ছেলে আজিজুর রহমান, আমজেত হোসেনের ছেলে কামরুজ্জামান মিন্টু, ইলিয়াস হোসেন, কালো নুরোর ছেলে আতিয়ার রহমান, নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল, বসুন্তিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল গাজীর ছেলে মিন্টু গাজী, কন্দর্পপুর গ্রামের হাশেম মোড়লের ছেলে রুহোল আমিন ও মৃত আব্দু তালেবের ছেলে আবু সাইদ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে কেশবপুরের কন্দর্পপুর সকরারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মায়ে আনারস প্রতিকের প্রর্থীর নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় শফিকুল ইসলাম যোগ দিয়ে শেষে রাত ১১ দিকে স্কুলের পূর্বপাশের রাস্তায় উঠলে আসামিরা গতিরোধ করে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত দেশিয় অস্ত্র ও লাঠি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে মামলা হিসেবে রুজু না হওয়ায় তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
অপর দিকে গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে আসামিরা মঙ্গলকোট বাজার আনারস প্রতিকের সমর্থকদের খুজে মারপিট করছিল। এমরধ্যে আমজানুর রহমান বাজার মসজিদে নামাজ পড়তে যান। আসামিরা তাকে মসজিদের সামনে পেয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করেন। আসেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। সুস্থ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহন না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।#