বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর সদর উপজেলার ৮ নং দেয়াড়া ইউনিয়নে মধ্যরাতে এক মেম্বর প্রার্থী ও এক যুবলীগ নেতার বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ করেছে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। তারা দুজনেই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী প্রভাষক লিয়াকত আলীর সমর্থক। লিয়াকতের দাবি প্রতিদন্দ্বী প্রার্থীরাই এ ঘটনার সাথে জড়িত। তবে এঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। বৃহস্পতিবার ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টার পর দেয়াড়া ইউনিয়নের পৃথক দুই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও জড়িতদের আটকে অভিযান চালিয়েছে।
ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী মাসুদ রানা ফন্টু সাংবাদিকদের জানান, তিনি মোরগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে প্রচারণা শেষ করে বাড়িতে যান। এর কিছু সময় পরই তার বাড়ির সিঁড়িতে দূর থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে মোটরসাইকেলে দূবৃর্ত্তরা চলে যায়। তিনি জানান,তার ভাগ্নে আনিছকে ওই এলাকার মহিন, শামিনুর, সাগর, রোহানী, সাদ্দাম সহ আরো কয়েকজন কোনো কারন ছাড়ায় মারপিট করে। তিনি বিষয়টির প্রতিবাদ জানান। তারাই এ ঘটনা ঘটেতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।
নারাঙ্গালী বাজারের পাশের বাসিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য হারুনার রশিদ জানায়,তিনি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এমন সময় একটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন সন্ত্রাসী বাড়ির সামনে এসে ডাক চিৎকার দেয়। সবশেষে বাড়ির টিনে ধারালো অস্ত্র দিযে কোপাতে থাকে । অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর বাড়ির সামনের গলিতে ককটেল নিক্ষেপ করে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যান। তবে, তিনি কাউকেই চিনতে পারেননি বলে জানান। ধারণা করেন নৌকার পক্ষে কাজ করায় তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী প্রভাষক লিয়াকত আলী বলেন, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই তার কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। যা তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাই করছেন বলে তিনি দাবি করেন। এ বিষয়ে তিনি আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে দেয়াড়া ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা কোতোয়ালি থানার এসআই খান মাইদুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনার পর ওই এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে ও একই সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।#