যশোরে এভিআই গ্রুপ ইউএসএ লিংক একটি এ্যাপস খুলে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

যশোর প্রতিনিধি: এভিআই গ্রুপ ইউএসএ লিংক নামে একটি এ্যাপস খুলে একটি চক্র বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। প্রতারণার শিকার গ্রাহকেরা পুলিশ ও র‌্যাবের সহায়তায় চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে,যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল হোসেন ও রোকেয়া বেগমের ছেলে জাহিদ হাসান, বাঘারপাড়া উপজেলার করিমপুর গ্রামের মৃত ইউনুস বিশ^াস ও মৃত অতিরণ নেছার ছেলে মোঃ শোয়াইব আহম্মেদ,একই উপজেলার মহিরণ গ্রামের গোলাম কুদ্দুস ও জামিলা খাতুনের ছেলে তুহিন হাবিব ও একই উপজেলার জামদিয়া গ্রামের মৃত আফছার মোল্লা ও জবেদা বেগমের ছেলে রাজু আহম্মেদ। এ সময় তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ১০/১২জন রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। সোমবার ২৭ ডিসেম্বর রাতে মামলাটি করেছেন, যশোর শহরের চাঁচড়ার আশরাফ আলীর ছেলে মেহেদী হাসান। তিনি মামলায় বলেছেন,যশোর পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট কলেজের একজন ছাত্র তিনি। গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে জানান, গত ৫ অক্টোবর বিকেল ৪ টা বেজে ২৫ মিনিটে বাদি ফেইসবুক ব্রাউজ করাকালীন একটি ওয়েবসাইট পেইজ নাম এভিআই গ্রুপ ইউএসএ,লিংক দেখতে পাই। পরে এ ব্যাপারে বাদি উক্ত লিংক সম্পর্কে জানাশোনা আছে শোইয়াব আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করেন। শোইয়াব বাদিকে বলেন সে উক্ত গ্রুপের একজন এজেন্ট। এভিআই গ্রুপ ইউএসএ সম্পর্কে বিস্তারিত বলে। সে গুগল থেকে উক্ত গ্রুপের একটি এ্যাপস নামিয়ে নিয়ে বিনিয়োগ করতে বলে। বাদিতে উৎসাহিত করে। শোইয়াব আহম্মেদ বাদিকে বলে এভিআই গ্রুপ ইউএসএ একটি আইডি খুলে ৮,৪১৫ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন ১৭০ টাকা করে মাসে ৫১০০ টাকা আয় করা যায়। বাদি উক্ত টাকা বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে দেই। বাদির দেখাদেখি এলাকার অনেকে বিনিয়োগ করে। তবে কোন টাকা ফেরত পাইনি। এভাবে উক্ত গ্রুপের নামে সম্প্রতি কয়েক মাসে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে বাদি আংশকা প্রকাশ করেছে। বাদী শোইয়াব আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে ফোন রিসিভ করেনি। পরবর্তীতে তার বাড়িতে গেলে তখনও সে বলে কাজ করে যাও টাকা পাবে। এরপর কোন টাকা বাদি ও গ্রাহকেরা এজেন্টের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করতে পারেনি। সোমবার ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৩ টায় শোইয়াব আহম্মেদ যশোর জেস টাওয়ারের ৩য় তলা রোজ গার্ডেন রেষ্টুরেন্ট এর ভিতর আসলে বাদিসহ গ্রাহকেরা শোইয়াব আহম্মেদকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় র‌্যাবের মাধ্যমে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে র‌্যাব ও পুলিশ উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতার করে। তাদের সাথে থাকা চক্রের ১০/১২জন খবর পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে।#