বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের কিংস হাসপাতাল থেকে নিখোজ হওয়া চার বছরের শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের কর্মরত পুলিশের এ.এস.আই আবু-সালেহ। শিশু ইয়ামিন নড়াইলের বাসগ্রামের আহমেদ আলীর ছেলে।
শনিবার(১১ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে ওই শিশু শহরের কিংস হাসপাতালের ৩১১ নম্বর কক্ষ থেকে তার মা তহমিনার অজান্তে হাসপাতালের বাহিরে চলে আসে এবং ব্যাস্ততম রাস্তায় বাচ্চাটি একাই ঘুরে বেড়ায়।
অতপর যশোর জেনারেল হাসপাতালের তিন নম্বর গেটে বাচ্চা টিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে নিজ হেফাজতে নেন এ এস আই আবু সালেহ। অতপর তিনি থানায় অবগত করে হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বাচ্চাটির পরিচয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করেন।
প্রায় দেড় ঘন্টার ব্যাবধানে বাচ্চাটির মা তহমিনা কে পেয়ে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিখোজ হওয়া ওই শিশু ইয়ামিন কে তার পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করে পুলিশ। পুলিশের এমন তৎপরতা কে সাধুবাদ জানিয়েছে জনসাধারণ মহল।
যশোর পুলিশ লাইনের এ.এস.আই আবু-সালেহ বলেন, আমি বাচ্চাটিকে হাসপাতালের সামনের ব্যাস্ততম রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখে আমার সন্দেহ হয়। তৎক্ষনাৎ আমি বাচ্চাটিকে নিজ হেফাজতে নেই। এরপর কোতোয়ালি থানায় অবগত করে আমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিযান শুরু করি। প্রায় ২ ঘন্টা পর বাচ্চার মা কে পেয়ে পরিচয় নিশ্চিত করে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করি।
শিশু ইয়ামিনের মা তহমিনা খুশির আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, বাচ্চা কখন ওই তিন তালার পর থেকে নেমে বাহিরে চলে এসেছে আমি বুঝতে পারিনি। তবে আমি আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া জানাই যে আমার বাচ্চাটিকে আমি আমার কোলে ফিরে পেয়েছি। আল্লাহ না করুক এই ব্যাস্ত রাস্তায় ওর যেকোনো দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আমি পুলিশ ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞ।