ছেলের বউকে ধর্ষন করল শ্বশুর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা ছেলের

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ নিজের স্ত্রীকে বাবা জোর পুর্বক ধর্ষন করছেন এমন দৃশ্য দেখে বিষপান করে আত্নহত্যার চেষ্টা করেন হাবিবুর রহমান নামে যুবক।

রোববার দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার উত্তর তালুক পলাশী গ্রামে নিজ বাড়িতে বিষপানে আত্নহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। হাবিবুর রহমান ওই গ্রামের মোকসুদার রহমানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, উত্তর তালুক পলাশী গ্রামের মোকসুদার রহমানের ছেলে অটোচালক হাবিবুর রহমান তিন মাস আগে প্রতিবেশী এক মেয়ের সাথে প্রেম পরিনয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে নববধু শ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করেন। স্বামী দিনের বেলায় অটো চালাতে বাহিরে থাকেন। তার শ্বাশুরীও অন্যের বাড়িতে কাজে যাওয়ার সুবাদে শ্বশুর মোকসুদার রহমান সহ বাড়িতে থাকেন নববধূ।

গত সপ্তাহে নববধু জ্বরে আক্রান্ত হলে ওষুধ এনে দেন শ্বশুর মোকসুদার রহমান। এ সময় নববধুকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়ে অচেতন করে ধর্ষন করে। পরের দিনও শ্বশুর তাকে কু প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুর নববধুকে মারপিট করলে চোখে আঘাত পান। অবশেষে ইচ্ছা বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় পুত্রবধুকে ধর্ষন করে শ্বশুর মোকসুদার রহমান (৪৮)। এভাবে সপ্তাহ ধরে লাগাতার ধর্ষনের শিকার নববধু বিষয়টি তার স্বামী ও শ্বাশুরীকে জানায়।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) দিনে অটো রিক্সা নিয়ে বাহিরে গিয়ে কিছুক্ষন পর বাড়ি ফিরে এসে নিজ চোখে বাবার অপকর্ম দেখে বাবার উপর ক্ষিপ্ত হন ছেলে হাবিবুর রহমান। বাবাকে ধাওয়া করেও আটক করতে পারেনি হাবিবুর রহমান।

এ ঘটনায় রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিয়ে বাবা ছেলের মাঝে পুনরায় বিতর্ক হলে নিজ বাড়িতে প্রকাশ্যে বিষপানে আত্নহত্যার চেষ্টা চালায় অটোচালক হাবিবুর রহমান। তাদের আত্নচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

নির্যাতিত নববধু বলেন, বাড়িতে কেউ না থাকায় প্রথম দিন ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বশুর ধর্ষন করে। দ্বিতীয় দিন বাঁধা দেয়ায় চোখে ঘুসি মেরে আহত করে ধর্ষন করে। এ ভাবে ৭দিন লাগাতার ধর্ষন করে। বিষয়টি স্বামী ও শ্বাশুরীকে জানিয়েছি। তারা প্রথমে বিশ্বাস করেনি। শেষ দিন স্বামী নিজেই দেখেছেন। এই ক্ষোভে স্বামী বিষপানে আত্নহত্যার চেষ্টা করেছে। তিনি শশুরের বিচার দাবি করেন।

এ ঘটনার পর থেকে বাড়িতে তালা দিয়ে সপরিবারে পালিয়েছেন মোকসুদার রহমান।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, মোকসুদার রহমান অনেক মেয়ের এমন সর্বনাশ করেছেন। একাধিক গ্রাম্য বিচারে তাকে সতর্ক করা হলেও তার চরিত্রের কোন সংশোধন হয়নি।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।