বিশেষ প্রতিনিধি
ওয়াল্টন গ্রুপের যশোরে উপ-নির্বাহী পরিচালক কাজী জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগ এনে রোববার আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন তার স্ত্রী সুমাইয়া আফরিন সীমা। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি গ্রহণ করলেও এ বিষয়ে রোববার কোনো আদেশ দেননি।
অভিযুক্ত কাজী জাহিদ হাসান ঢাকার সাভার থানার জিনজিরা এলাকার মৃত কাজী আব্দুর রবের ছেলে। বর্তমানে তিনি ওয়াল্টন গ্রুপের ঢাকার বসুন্ধরার কর্পোরেট অফিসে উপ-নির্বাহী পরিচালক পদে কর্মরত।
যশোর সদর উপজেলার কামালপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে সুমাইয়া আফরিন সীমা মামলায় উল্লেখ করেছেন, ২০০৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ১ লাখ টাকা দেনমোহরে কাজী জাহিদ হাসানের সাথে তার বিয়ে হয়। এ সময় কাজী জাহিদ হাসান ঢাকায় ফ্ল্যাট কেনার জন্য তার পিতার কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছিলেন।
মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তার পিতা জামাইকে পরে দিবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর কাজী জাহিদ হাসান ফ্ল্যাট কেনার জন্য দাবিকৃত যৌতুকের ২০ লাখ টাকা স্ত্রীকে এনে দিতে বলেন। ফলে সুমাইয়া আফরিন সীমার পিতা আবুল কালাম আজাদ মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামাইকে যৌতুক হিসেবে ১৭ লাখ টাকা দেন। এই টাকা পেয়ে কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর বাকী ৩ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য কাজী জাহিদ হাসান তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। অত্যাচারের এক পর্যায়ে সুমাইয়া আফরিন সীমা যৌতুকের আর কোনো টাকা দিবেন না বলে তার স্বামীকে জানিয়ে দেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কাজী জাহিদ হাসান গত অক্টোবরের প্রথম দিকে দুই সন্তানসহ সুমাইয়া আফরিন সীমাকে তার পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেন। #