যশোরে ব্রাক কর্মীদের মারপিট, ৫ জনের নামে মামলা

যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদরের কুটি লাউখালী গ্রামে ব্রাকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির তিন সংগঠককে মারপিটে জখম ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৫জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ব্রাক চুড়ামনকাটি অফিসের ব্যবস্থাপক গৌতম নন্দী ওই মামলাটি করেন।
আসামিরা হলো, কুটি লাউখালী গ্রামের বিলায়েত আলী মন্ডলের দুই ছেলে লান্টু মন্ডল (৫৫), বিল্টু মন্ডল (৫৪), লাল্টু মন্ডলের দুই ছেলে হৃদয় মন্ডল (২৬) ও শাকিল মন্ডল (২০) এবং হৃদয় মন্ডলের স্ত্রী জেসমিন খাতুন (২৩)।
অভিযোগে বাদি গৌতম নন্দী মামলায় বলেন মাসিক কিস্তি দেয়ার শর্তে চুড়ামনকাটি ব্রাক অফিস থেকে অভিযুক্ত জেসমিন খাতুন ৪০ হাজার টাকা এবং অভিযুক্ত বিল্টু মন্ডলের স্ত্রী পায়রা খাতুন (৪৮) ৩০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ওই ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করার জন্য কর্মসূচি সংগঠকরা গেলে আসামি জেসমিন নানা ভাবে ঘুরাতে থাকে। আজ না কাল বলে টালবাহানা করে। গত রোববার বিকেল কিস্তির টাকা আদায়ের জন্য কর্মী দেবিকা রাণী (৩০), প্রবীর ঢালী (৩৬) এবং মাছুরা খাতুন (২৮) আসামি জেসমিনের বাড়িতে যান। কিস্তির টাকা চাইতে গেলে আসামিরা একযোগে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গালি দিতে নিশেধ করলে আসামিরা তরকারি কাটার বটি দিয়ে মারপিটে উদ্যত হয়। পরে লাঠিসোটা, লোহার রড দিয়ে মারপিট করে। দেবীকা রাণীর নাকে মুখে, মাথায়, বুকে কিলঘুষি মারে। রক্তাক্ত জখম করে। তিনি দৌড়ে পালাতে গেলে তার পড়নের কাপড় টেনে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ সময় তার শরীর থেকে ২ ভরি ৮ আনা ওজনের সোনার গহনা ছিনিয়ে নেয়। ভ্যানেটি ব্যাগের মধ্যে থাকা ১৫ হাজার টাকাও কেড়ে নেয়। সংবাদ দিয়ে তিনিসহ অফিসের অন্যান্য স্টাফরা সেখানে যান এবং দেবীকাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে