বিশেষ প্রতিনিধি
প্রতিবেশী সন্ত্রাসীরা সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের বানিয়ালী গ্রামের এক বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রতিবন্দ্বী যুবকসহ তিনজন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। আদালতের নিদের্শে শুক্রবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামলাটি রেকর্ড করেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে ৫জনকে । এরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার বানিয়ালী গ্রামের মৃত নজর আলীর ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন, মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন, তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে উজ্জল হোসেন, তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে জুয়েল হোসেন ও মৃত নজর আলীর ছেলে মফজেল আলী। মামলাটি করেন,ওই গ্রামের সলেমান হোসেনের ছেলে মাহবুবুর রহমান।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বাদি ও আসামীর বাড়ির পাশাপাশি এবং পূর্ব হতে বিরোধ চলে আসছে। আসামীগণ র্দীঘদিন বাদীর পিতাকে হত্যার পায়তারা করে আসছে। আসামীগণ গত ২৭ অক্টোবর সকাল ৮ টা ৪০ মিনিটের সময় বাদির বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে থাকে। বাদীর পিতা ঘর হতে বের হয়ে এসে আসামীদের বাধা নিষেধ করে। তোফাজ্জেল হোসেন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় বাম পাশের্^ সজোরে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। বাদির পিতা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বিল্লাল হোসেন বাদির উঠানে থাকা ইট দিয়ে বাদির পিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কপালের উপরিভাবে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। বাদির পিতাকে রক্ষা করতে বাদির মাতা হালিমা বেগম এগিয়ে আসলে উজ্জল হোসেনের হাতে থাকা কেটো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে জখম করে। মোফাজ্জেল হোসেন বাদির মাতার ডান হাতে আঘাত করে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। বাদীর ছোট ভাই প্রতিবন্দ্বী হাবিবুর রহমান তার মাকে বাঁচাতে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে এগিয়ে এসে আসামীদের ঠেকাতে চেষ্টা করলে মফজেল আলী হাবিবুর রহমানকে ধরে রাখে এবং জুয়েল হোসেন গলা চেপে ধরে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। বাদি ডাক চিৎকারে স্থানীয় আস পাশে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা চলে যায়। আহতদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় বাদি কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করতে গেলে অনীহা প্রকাশ করে। পরে আদালতের স্মরনাপন্ন হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশে মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়।#