যশোরে শিক্ষার্থী অপহরনের অভিযোগে মামলা,যুবতী উদ্ধার

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ্য দিবালোকে কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী মোছাঃ হাবিবা খাতুনকে অপহরণের অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। অপহৃতা শিক্ষার্থীর পিতা যশোর সদর উপজেলার দাইতলা গ্রামের আনছার আলী মুন্সীর ছেলে ইমরান হোসেন বাদি হয়ে অপহরনের ৬দিন পর কোতয়ালি মডেল থানায় এক জনের নাম উল্লেখসহ  অজ্ঞাতনামা ২/৩জন উল্লেখ করেছেন। আসামী করা হয়েছে একই গ্রামের খলিল শরিফের ছেলে সাইমুন ওরফে আলামিন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তার মেয়ে হাবিবা খাতুন  সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা ইউনাইটেড কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ১ম বর্ষের ছাত্রী। গত ৩ নভেম্বর বাড়ি হতে কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী কলেজের  উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। সকাল ১০ টায় সদর উপজেলার ফতেপুর বটতলায় যশোর নড়াইল সড়কের পাকা রাস্তার উপর পৌছালে সাইমুন ওরফে আলামিন তার অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের সহায়তায় একটি সাদা রংয়ের অজ্ঞাতনামা নাম্বারের প্রাইভেট কারে কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী হাবিবা খাতুনকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে। অপহরনের সময় স্থানীয় লোকজন দ্রুত এগিয়ে গেলে অপহরনকারী সাইমুন আলামিন দ্রুত  প্রাইভেট কারে তুলে যশোরের দিকে চলে যায়। এ ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে না পেয়ে মামলা করতে বাধ্য হন। মামলা হওয়ার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা কলেজ শিক্ষার্থীকে মঙ্গলবার গভীর রাত পৌনে ১ টায় সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর বটতলা মোড় হতে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার মোছাঃ হাবিবা খাতুন স্বেচ্ছায় আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা অপহৃতাকে  আদালতে হাজির করেন।#