বিশেষ প্রতিনিধি
সদর উপজেলার ১২৩ মুরাদগড় মৌজার মান্দারতলায় যশোর জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যশোর ঝিনাইদহ সড়ক থেকে আড়াই লাখ মূল্যের দু’টি মেহেগুনী গাছ একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিথ্যা প্রতারণা মূলকভাবে অনুমতি পত্র আছে বলে কর্তন করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আল আমিন বাদি হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় গাছ চুরির সাথে জড়িত ৫ জনের নাম উল্লেখসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনের বিরুদ্ধে এজাহার দিয়েছে। থানা কর্তৃপক্ষ এজাহারটি নথিভূক্ত করেনি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত।
যশোর জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার শাহ আলম মৃধার ছেলে মোঃ আল আমিন বাদি হয়ে গত ৪ অক্টোবর যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে আসামীরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার সমসপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে আল আমিন ওরফে মনু,গাছ ক্রেতা ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের মাহাবুব,মুরাদগত গ্রামের জহুরুল ইসলাম,ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মশিহাটি গ্রামের ওলিয়ার রহমানের ছেলে সালাউদ্দিন ও যশোর সদর উপজেলার মুরাদগড় গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে ট্রাক্টর চালক আসিকসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন।
আল আমিন বাদি হয়ে দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন, গত ২ অক্টোবর দুপুর ৩টায় জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষ বিশেষ সূত্রে জানতে পারেন যশোর জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের যশোর সদর উপজেলার উপজেলার ১২৩নং মুরাদগড় মৌজার (মান্দারতলা) নামকস্থান হতে বড় ধরনের ১টি মেহেগুনী গাছদ অবৈধভাবে ও চুরি করে নিয়ে গেছে। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশক্রমে জেলা পরিষদের ইলেকট্রিশিয়ান মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে আশরাফ হোসেনকে সাথে নিয়ে সরেজমিনে যান। সরেজমিনে যেয়ে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বাদিদ্বয়কে জানায় আল আমিন মনু যশোর জেলা পরিষদ থেকে গাছটি কর্তন করে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি আছে মর্মে মিথ্যা/ প্রতারণা মূলক কথা বলে তার সহযোগী গাছ ক্রেতা মাহাবুব এর নিকট ২লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রয় করে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৪ টার মধ্যে আল আমিন ও মাহাবুব উপস্থিত থেকে জহুরুল ইসলাম, সালাউদ্দিনসহ তাদের অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন গাছ কর্তনের লেবারদ্বারা গাছটি কর্তন করে এবং আসিক এর ট্রাক্টরে করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। যার ফলে জেলা পরিষদের আনুমানিক ৩লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। বাদি স্থানীয়ভাবে আরো জানতে পারে আসামীগন সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিবিশেষ ও সরকারী দপ্তরের নাম করে জেলা পরিষদের রাস্তার জীবিত ও মূল্যবান গাছ প্রায়ই অবৈধভাবে ও চুরি করে কর্তন করে থাকে। আসামী প্রভাবশালী ও অত্যন্ত চালাক প্রকৃতির ব্যক্তি। নিজেরা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য রাস্তার গাছ কর্তন করে থাকে। অবৈধভাবে ও চুরি করে গাছগুলো কর্তনের সময় স্থানীয় অনেকে স্বচক্ষে দেখলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইনি। আসামীদের ন্যায় জাতীয় সম্পদ বিনষ্টসহ পরিবেশের ভারসাম্যর মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করতে বাদি এজাহার দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বুধবার ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৪০ মিনিটের পর থেকে কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক তাজুল ইসলামের সরকারী মুঠোফোনে ০১৩২০-১৪৩১৮০ নাম্বারে বেশ কয়েকবার প্রতিবেদক ফোন করলে তিনি রিসিভ না করায় এজাহারটি নথিভূক্ত হয়েছে কিংবা গাছ উদ্ধার ও চুরির সাথে জড়িতে কেউ গ্রেফতার হয়েছে কিনা তা জানা সম্ভব হয়নি