যশোর প্রতিনিধি
সন্ধ্যারাতে সদর উপজেলার তরফ নওয়াপাড়া রিপন মেম্বরের মুদী দোকানের সামনে পিতার কাছ থেকে ছেলে শেখ রাসেল (১৬)কে টেনে হেচড়ে নিয়ে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় ২ সন্ত্রাসীর নাম এবং তাদের অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের শেখ মাজেদ এর ছেলে শেখ মিন্টু। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, সদর উপজেলার তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের সোহেল ও মিরাজ। পুলিশ হামলার সাথে জড়িত সন্দিগ্ধ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলা পলিতা বাজার বতৃমানে শহরের মোল্যাপাড়া আমতলা আজিজ কন্টাক্টরের বাড়ির ভাড়াটিয়া পালিত মাসুদ মোল্যার ছেলে রেজাউল এর ছেলে রিয়াদ শেখ ও সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দুল্লি গ্রামের বর্তমানে মোল্যাপাড়া নদীর কুলের মসজিদ গরু ওয়ালা হাসানের বাড়ির ভাড়াটিয়া রবিউল ইসলামের ছেলে আল আমীন।
সদর উপজেলার তরফনওয়াপাড়া গ্রামের শেখ মাজেদ এর ছেলে শেখ মিন্টু বাদি হয়ে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে উক্ত আসামী ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বাদি হামিদপুর বাজারে বাবুর্চির কাজ করেন। বাদির ছেলে শেখ রাসেল (১৬) শুক্রবার ১ অক্টোবর রাত ৮ টায় তরফ নওয়াপাড়া রিপন মেম্বরের মুদী দোকানের সামনে অবস্থান করছিল। বাদি হামিদপুর বাজার থেকে কাজ শেষে বাড়িতে যাওয়ার সময় রিপন মেম্বরের মুদী দোকানের সামনে ছেলে শেখ রাসেলকে দেখতে পেয়ে পিতা পুত্র রিক্সায় উঠে। রিক্সায় উঠার সাথে সাথে রাত সোয়া ৮ টায় সোহেল ও মিরাজসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ১০/১২জন দৌড়ে রিক্সার কাছে আসে। কোন কথা বার্তা ছাড়াই অতর্কিত বাদির ছেলেকে টেনে হিচড়ে রিক্সা থেকে নামায় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে সোহেল তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে। মাটিতে পড়ে গেলে মিরাজসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে আঘাত করে। পিতা ও ছেলের ডাক চিৎকারে আশের পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বাদি ও তার ছেলেকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে পালিয়ে যায়। কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হওয়ার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা শনিবার রাত ২টায় সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর ইসলাম পাড়া হতে সন্দিগ্ধ আসামী রিয়াদ শেখ ও আল আমিনকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে।#