নিহত রবিউল চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। তিনি যশোর শহরের পালবাড়ি মোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। চুয়াডাঙা জেলার দর্শনা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের সালেকের ছেলে আব্দুল মালেক বলেন বিকাল ৩টার দিকে আমরা যশোর থেকে একটা ইজিবাইক কিনে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম৷ চুড়ামনকাঠি তেলপাম্প পার হয়ে যাওয়ার সময় রবিউল ইসলাম নামে একব্যাক্তি পুলিশ পরিচয়ে ইজিবাইক থামাতে বলে৷ আমরা ইজিবাইক না থামিয়ে চালাতে থাকি৷ এসময় রবিউল দৌড়ে গাড়িতে উঠে৷ পুলিশ পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করে৷ এসময় আমরা চিল্লাচিল্লি করলে স্থানিয় লোকজন এসে ঘটনা শুনে রবিউলকে গনপিটুনি দেয় এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়৷ পূলিশ সহ আমরা বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এনে প্রথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর পুলিশ থানায় নিয়ে যায়৷ থানায় রবিউল অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্ধা সাড়ে ছয়টার দিকে রবিউলকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়৷ ওই সময় চিকিৎসক মৃৃৃৃত ঘোষনা করেন৷
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, রবিউল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। আজ বিকেলে চুড়ামনকাটিতে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় স্থানীয় লোকজন তাকে পিটুনি দেয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দিকে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে রবিউল হার্টের রোগী ছিলেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সালাউদ্দিন স্বপন বলেন, রবিউলের শরীরে চাপা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চারটা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ সহ হাসপাতালে আনা হয় এবং প্রথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়৷ পরে সন্ধা সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ আবারও রবিউলকে হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ ওই সময় ইসিজি করে মৃৃৃৃৃৃত্যু নিশ্চিত করে মর্গে পাঠায়৷ প্রথমে রবিউলের অবস্থা ভালো ছিলো৷ তাই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে৷ ধারনা করা হচ্ছে হার্ট এটাকে তার মৃৃৃৃৃৃৃত্যু হয়েছে৷ তবে মৃৃৃৃৃৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণায় করতে ময়না তদন্ত করা হবে৷
যশোরে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় গণপিটুনিতে এক ব্যক্তির মৃৃৃৃৃৃত্যু
যশোর প্রতিনিধি
যশোরে ‘পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময়’ গণপিটুনিতে রবিউল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।