যশোর প্রতিনিধি
সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র এক যুবককে মোবাইল বিক্রি ও দেখানোর কথা বলে পুলিশ লাইনের সামনে গলির মধ্যে নিয়ে টাকা দাবি করে ছুরিকাঘাত করে নগদ টাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামী করা হয়েছে দু’জনকে। আসামীরা হচ্ছে, যশোর শহরতলী পালবাড়ী ওহিদুল এর ক্লাব ঘরের পিছনে রাজ্জাক শিকদারের ছেলে হাসান শিকদার ও আলামিন। মামলাটি করেছেন,ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মাঝদিয়া শহর আলীর ছেলে টিপু সুলতান।
মামলার বাদি বুধবার দিবাগত গভীর রাতে উক্ত আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলায় বলেছেন, বাদীর ছেলে তূর্য্য সুলতান (১৫) বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টায় নিজ বাড়ি হতে তার মামাতো ভাইয়ের জন্য পুরাতন মোবাইল কেনার জন্য যশোর আসে। বাস থেকে পালবাড়ী মোড়ে নামে। পালবাড়ী নেমে পুরাতন মোবাইল কেনার বিষয় একজন রিকসা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রিকসাওয়ালা পালবাড়ী মোড়ে অবস্থানরত আলামিনকে দেখিয়ে দেয়। আলামিনের নিকট গেলে সে পালবাড়ী মোড়ে অবস্থানরত হাসান শিকদারের নিকট নিয়ে যায়। দু’জন মিয়ে বাদীর ছেলে তূর্য্য সুলতানকে মোবাইল দেখানোর জন্য পুলিশ লাইন্সের সামনে নিয়ে আসে। পুলিশ লাইনের সামনে এসে উক্ত আসামীরা বাদির ছেলেকে বিলে পৌনে ৫ টায় টালীখোলা পুলিশ লাইন গেটের সামনে গলির মধ্যে জনৈক কামালের বাসার সামনে পৌছে তূর্য্য সুলতানের কাছে টাকা চাই। তূর্য্য বলে আগে মোবাইল দেখান তারপর টাকা দিবো। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় হাসান শিকদার বাদির ছেলের মুখ চেপে ধরে এবং খুন করার উদ্দেশ্যে আলামিন তার পকেট থেকে চাকু বের করে তূর্য্যর বাম পায়ের রানের উপর ২টি আঘাত করে। হাসান শিকদার চাকু দিয়ে আঘাত করে তূর্য্যর পকেটে থাকা মানিব্যাগে নগদ ২ হাজার ৩শ’ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আলামিন পুনরায় তূর্য্যকে চাকু মারতে আঘাত করলে হাসান শিকদারের রানে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। তূর্য্যর চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছিনতাইকারী দু’জন পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় বাদির ছেলেকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় স্থানীয় লোকজন।