যশোরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা ধর্ষক গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি
এক সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক প্রতারক জোর পূর্বক ধর্ষন করে পালানোর অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হলে পুলিশ প্রতারক লম্পট ধর্ষক আল আমিনকে গ্রেফতার করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের সাবানা ও আলমগীরের ছেলে। আল আমিন আদালতে স্বেচ্ছায় ঘটনার বর্ণনা করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলা বিবারনে জানাগেছে, কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা এলাকার বাসিন্দা এক সন্তানের জননী গৃহবধূ (২২) কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগে বলেছেন,বিগত ৭ বছর পূর্বে বাদীর বিয়ে হয়। বৈবাহিত জীবনে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। পরবর্তীতে বাদীর সাথে তার স্বামীর ৪ বছর ঘর সংসার করার পর বিগত ৩ বছর পূর্বে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিয়ে বিচ্ছেদের পর বাদির সাথে আল আমিনের অপরিচিত মোবাইল ফোনের মাধ্যেমে পরিচয় হয়। আল আমিনের সাথে বাদির মোবাইলে নিয়মিত কথা বার্তা হতো। আল আমিন বাদির সাথে বিভিন্ন নম্বরের সীম দিয়ে কথা বলিত। কথা বার্তার এক পর্যায় আসামী বাদিকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। মোবাইলে আলাপের মাঝে বাদী তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে বলে আসামীকে জানালে তারপরও আল আমিন বাদিকে বিয়ে করতে চায়। বাদি গত ১ মাস পূর্বে জেলা ফরিদপুরে তার খালার বাড়িতে ছেলেসহ বেড়াতে যাই। মোবাইলে কথা বার্তার মাঝে বাদি আসামীকে বলে ফরিদপুর বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর আল আমিন বাদিকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদপুরে বাদির সাথে দেখা করে। ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার সময় ফরিদপুর থেকে বাদি তার ছেলেসহ আসামীর সাথে যশোর চলে আসে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বাদিকে তার ছেলেসহ কোতয়ালি মডেল থানাধীন ইছাপুর আল আমিন তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টায় বাদিকে বিয়ে প্রলোভনকরে আসামী বাড়ীর ঘরের ভিতর বাদির সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। ১৯ সেপ্টেম্ববর ভোর ৩ টা থেকে ৪ টার মধ্যে বাদীকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরবর্তীতে আসামী বাদিকে বিয়ে করার বিষয় নিয়ে তার খালার সাথে কথা বার্তা বলার জন্য খালার বাড়ির উদ্দেশ্যে বাদি ও তার ছেলেকে নিয়ে বাড়ি হতে ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮ টায় রওয়ানা করে। আসামী বাদিকে অজ্ঞাতনামা স্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে তুলে দিয়ে বাইরে পানি ও বিস্কুট কেনার জন্য বাস থেকে নেমে যায়। বাস ছেড়ে দিলে আসামীকে বাসের মধ্যে দেখতে না পেয়ে বাদির সন্দেহ হয়। বাদি সাথে সাথে বাস থেকে নেমে যাই। আসামীর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করলে সে মোবাইল রিসিভ করে না। আশে পাশে খোঁজাখুজির করে কোথাও কোন সন্ধান পাইনি। পরবর্তীতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামী আল আমিনকে ২১ সেপ্টেম্বর ভোর রাত ৩ টায় আল আমিনকে তার বাড়ি হতে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার দুপুরে আসামীকে আদালতে সোপর্দ করলে সে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। #