আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

বিষেশ প্রতিনিধি : আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রতিবেশি আনোয়ারের ৬ শতক জমি জোর পূর্বক সেখানে ঢালাই পিলার ও বাশের চটার বেড়া দিয়ে দখলে নিয়েছে মহা ধুরন্দর জাকির হোসেন।

ঘটনাটি ঘটেছে চৌগাছার পাশাপোল ইউনিয়নের দুড়িয়ালী গ্রামে। এই নিয়ে ওই গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। সন্ত্রাসি ভূমিদস্যু সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিবেশি আনোয়ার হোসেনের অভিযোগ তার পিতা মৃত আশরাফ হোসেন ১৯৮৯ সালে ওই গ্রামের এক সনাতেন পরিবারের কাছ থেকে ১৫ শতক জমি ক্রয় করেন। গত বছর ২০১৯ সালে তিনি আরো একজনের কাছ থেকে ১২ শতক জমি কেনে। পরবর্তীতে তিন শতক জমি বাড়তি বলে এক প্রতিবেশি অভিযোগ করলে তিনি আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নেন। ফলে তার জমির পরিমান দাড়ায় মোট ২৪ শতক। আর প্রতিবেশি জাকির হোসেন ও তার শরিকদের কেনা জমি ২৯ শতক। জাকির দাবি করে তার (আনোয়ার হোসেনের) জমির মধ্যে জমি ঢুকে গেছে। এই নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। পরে এলাকার লোকজন মাপদিয়ে দেখে জাকির হোসেনের দখলি জমির পরিমান ৩৫ শতক। তার দলিলে ২৯ শতক জমি থাকলেও তিনি ৩৫ শতক দখল করে নিয়েছেন। কিন্তু তার (আনোয়ার) ২৪ শতক জমির স্থানে আছে মাত্র ১৪ শতক। বাকি ১০ শতকের হিসাব নেই।

আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ১০ শতক জমির মধ্যে ৪ শতক জমির ঝামেলা মিটিয়ে নেয়া হয়েছে আরেক প্রতিবেশির সাথে। কিন্তু বাকি ৬ শতক জমি জাকির হোসেন জবর দখল করে রেখেছে। এই বিষয়ে এলাকার লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে শালিস হয়। কিন্তু শালিসে কোন সুরাহ হয়নি। ফলে তিনি আদালতের দারস্থ হন। আদালত উভয় পক্ষকে স্থীতিশীল পরিস্থিতি বজায় রাখতে নির্দেশ দিলেও জাকির হোসেন তা অমান্য করে তার জমির সীমান থেকে বেশ ভেতরে নতুন করে পিলার ও বেড়া দিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হয় জাকির হোসেনের সাথে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি চেয়াম্যনের নির্দেশেই, বর্তমান ইউপি সদস্য আবাদুর রহিম সাবেক ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান বুলু ও গ্রাম পুলিশ সুশিল কুমারের‘র উপস্তিতিতে তার নিজ সীমানা জুড়ে বেড়া দিয়েছেন। তার জামির পরিমান সঠিক আছে। যে ৬ শতক জমি আনোয়ার নিজের বলে দাবি করছেন তার সঠিক কাড়জপত্র আছে। এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ঝামেলার সমাধান দিতে না পারায় তিনি আদালতে গিয়েছেন। আদালতের রায়ের অপেক্ষায় তিনি আছেন।
আনোয়ারের ৬ শতক জমি দখল করে নতুন করে বেড়া দেয়ার বিষয়ে জাকির হোসেন বলেছেন, বেড়া পুরনো হয়ে গিয়েছিল, তাই নতুন বাঁশ খুটি পোতা হয়েছে। এছাড়া আদালতে কোন সমাধান আপাতত দেয়নি।
আনোয়ার হোসেন বলেছেন এটা জাকির মিথ্যাচার। আদালতের উভয় পক্ষকে স্থীতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশের কপি দেখিয়ে বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছি। স্থীতি অবস্থা বজায় রাখতে আদালতের নির্দেশ আমরা মানলেও জাকির তা মানেনি।
এ বিষয়ে পাশাপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান সবুজ জানিয়েছেন, এ বেড়ার বিষয়ে তিনিি কিছুই জানেনা, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এলাকার লোকজন বসে ছিলো। কিন্তু কোন সমাধান না হওয়ায় দুই পক্ষই আদালতে গিয়েছে। ফলে এই বিষয়ে তার কোন মন্তব্য করা সমিচিন হবে না। তবে এলাকার চেয়ারম্যান হিসেবে আমি স্থানীয় মেম্বরের সাথে আলাপ করে জেনেছি জাকিরের মধ্যে যে ৬ শতক জমি বেশি বয়েছে তা আনোয়ারের সম্পত্তি।