বিশেষ প্রতিনিধি
পুলিশ দিয়ে আসামী ধরানো সন্দেহে হামলা চালিয়ে মারপিট পূর্বক জখম ও শ্লীলতাহানীসহ নগদ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মীরপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার আসামীরা হচ্ছে, সদর উপজেলার বসুন্দিয়া কলোনীপাড়ার ওয়াজেদ আলী মোড়লের ছেলে ইমরান হোসেন, একই এলাকার মৃত আমির আলীর ছেলে ওয়াজেদ আলী, মাজেদ আলীর ছেলে ইনছান আলী ও ওয়াজেদ আলীর ছেলে রায়হান।
সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মীরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাদী মীরের মেয়ে মর্জিনা বেগম বৃহস্পতিবার ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় উক্ত আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় তিনি বলেন, তার বাড়ি ও আসামীদের বাড়ী একই এলাকায়। ওয়াজেদ আলীর স্বভাব চরিত্র ভালনা। সে মাদক ব্যবসায়ী। ওয়াজেদ আলীর জামাই ইমরানকে পুলিশ তার বাড়ি হতে ৪/৫ দিন পূর্বে নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। উক্ত গ্রেফতারের পর থেকে বাদীরা তার জামাই ইমরানকে পুলিশ দিয়ে ধরায়ে দেওয়া হয়েছে দোষারোপ করে মারপিটসহ খুন জখমের হুমকী দিয়ে আসছিল। উক্ত ঘটনার জের ধরে ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭ টায় বাদির বসত বাড়ির সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ওই সময় বাদির ছোট ভাই রমজান আলী (৩২) তাদের গালিগালাজ করতে বাঁধা নিষেধসহ প্রতিবাদ জানায়। আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে রমজান আলীর উপর অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট শুরু করে। রমজান আলীর চিৎকারে বাদি এগিয়ে উদ্ধার করতে গেলে তাকে মারপিট করে শাড়ী কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ সময় রমজান আলীর পকেটে থাকা ব্যাটারী বিক্রয়ের নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় রমজান আলীকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।#