যশোরে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় মামলা;আসামি ৩

যশোর প্রতিনিধি
একটি পাওয়ার (ইলেক্ট্রিক) কোম্পানির টেরিটোরি সেলস অফিসার মনিরুজ্জামানকে (৫০) আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মনিরুজ্জামান সোলার পাওয়ার লিমিটেড (পেট্রোক্যাশ) কোম্পানির টেরিটোরি সেলস অফিসার এবং কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কানপুর গ্রামের মৃত মনতাজ আলীর ছেলে।
আসামিরা হলো, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আলীর ছেলে সুইট (২৩), শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার নুরুন্নবীর বস্তির মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে মনির (২২) এবং মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে রায়হান ওরফে ওমর (১৯)।
এজাহারে মনিরুজ্জামান অভিযোগ করেছেন, তার কোম্পানির ডিলার হলেন বড় বাজার আলুপট্টি এলাকার লোকনাথ ভান্ডার ও মাইক পট্টির মেসার্স আরমান ইলেক্ট্রনিক্স। তিনি মার্কেট ভিজিড করার জন্য গত রোববার একটি বাসে করে শংকরপুর বাসটার্মিনালে নামেন। সেখান থেকে যশোর কলেজ রোডে পৌছালে ৪ ব্যক্তি তার পথরোধ করে। পরে তাকে ওই রোডের একটি দোতলা ভবনের নিচতলায় আটকে রাখে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে তিনি মারপিট থেকে বাঁচতে তার এক আত্মীয়র মাধ্যমে বিকাশে ১৫ হাজার টাকা দেন। এরপর আরো টাকার জন্য মারপিট করে। পরে ওই যুবকরা দরজা খুললে তিনি ধাক্কা দিয়ে বাড়ির মধ্যে থেকে বের হন এবং ডিলার কাছে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে কোতয়ালি থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায় এবং ৩জনের সম্পৃক্ততার কথা জানতে পারেন। এই ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার এসআই আফম মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘটনা শুনে সেখানে গিয়ে আসামি সনাক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের আটক করা যায়নি। আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।