যশোরে দু’ছাত্রকে জিম্মি করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদরের তরফ নওয়াপাড়া সেগুন বাগানের সামনে চিহ্নিত সন্ত্রাসী দুই ছাত্রের মোটর সাইকেল থামিয়ে মারপিট পূর্বক নগদ টাকা,মোবাইল ও মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগে সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের তরফ নওয়াপাড়া সেগুন বাগান এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে জুয়েল হোসেন ও অজ্ঞাতনামা সহযোগী ৩জনকে উল্লেখ করেন।
যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের আফজাল তরফদারের ছেলে আকাশ হোসেন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার ৯ সেপ্টেম্বর সকালে কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আকাশ হোসেন অভিযোগে বলেন,সে ও তার বন্ধু যশোর সদর উপজেলার জোত রহিমপুর গ্রামের ইয়াকুব্বর আলীর ছেলে বাপ্পি হোসেন বুধবার ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টায় আকাশ হোসেন তার নিজস্ব মোটর সাইকেল এপাচী আরটিআর যার নং (যশোর ল-১২-৬৮৮৫) যোগে বন্ধু বাপ্পি হোসেনকে নিয়ে শহর হতে তালবাড়ীয়া গ্রামে রেন্টুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। তারা দু’জন তরফ নওয়াপাড়া সেগুন বাগানের সামনে পৌছালে জুয়েল হোসেন তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৩ মোটর সাইকেল থামাতে বলে। আকাশ হোসেন মোটর সাইকেল থামালে জুয়েল হোসেন তার সহযোগীদের সহায়তায় আকাশ হোসেনের কাছে প্রথমে একটি গ্যাস লাইট চায়। আকাশ হোসেন তারা দু’জন ছাত্র। তাদের কাছে কোন গ্যাস লাইট নেই। এর পর ছাত্র দু’জনের নাম পরিচয় জানতে চাই। পরিচয় জানার পর আকাশ হোসেন ও তার বন্ধু বাপ্পি হোসেনকে রাস্তার পাশে নিয়ে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায় মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে তাদের দু’জনকে চাকুর ভয় ভীতি দেখিয়ে পাশে সেগুন বাগানে নিয়ে মারপিট পূর্বক আকাশ হোসেনের কাছে থাকা ১২ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ও নগদ ১২ হাজার টাকা ও বাপ্পি হোসেনের কাছে থাকা নগদ ৭শ’ টাকা ও ১৩ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। দু’জনকে মারপিটের এক পর্যায় হাত বেধে রাখে। আকাশ হোসেন ও বাপ্পি হোসেনের কাছে তাদের দু’জনে মুক্তিপণ হিসেবে ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তাদেরকে ছাড়বে না বলে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায় আকাশের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার খালাতো ভাই সনির মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে কিছু টাকা পাঠাতে বললে সে ২ হাজার টাকা বিকাশে পাঠায়। বন্ধু বাপ্পি হোসেনের মোবাইল ফোন দিয়ে তার পিতার মোবাইল ফোন দিয়ে ৩০ হাজার টাকা দাবি করলে বাপ্পির পিতা টাকা না দেওয়ায় দু’জনকে মারপিট করে মোটর সাইকেল কেড়ে নেয়। ওই দিন দিবাগত রাত ১ টায় সন্ত্রাসীরা তাদেরকে পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ঝুমঝুমপুর ময়লা খানার সামনে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে বলে। টাকা নিয়ে গেলে মোটর সাইকেল ও মোবাইল ফোন ফেরত দেবে। আকাশ হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেন,এ ঘটনার মধ্যে সন্ত্রাসীরা একজন মহিলাকে এনে আকাশ হোসেন ও বাপ্পি হোসেনের সাথে ছবি তুলে মোবাইল ফোনে রেখে দেন। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় দু’জনকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেনি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত।