কেশবপুর আনসার ভিডিপি ব্যংকে দুর্নীতি তদন্তে ঢাকার তদন্ত টিম

যশোর প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুর আনসার ভিডিপি ব্যংকে অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। দুর্নীতিবাজ ম্যনেজারকে বদলি এবং বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা থেকে তদন্ত কমিটির প্রধান কেশবপুরে যান এবং কয়েকজন অভিযোগকারীর বক্তব্য গ্রহণ করেন।
কেশবপুর আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকে গ্রাহক হয়রানী, ভুয়া কাগজে ঋণ প্রদান, অতিরিক্ত সুদ আদায়সহ নানা অভিযোগ উঠে ম্যানেজার আজগার আলীর বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে জাল কাগজ পত্র এবং বিক্রি করা জমির দলিলের অনুকুলে আদালতে মামলা দায়ের হয়। বর্তমানে যা পিবিআই তদন্ত করছে।
যশোরের কেশবপুরে আনসার ভিডিপি ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। বর্তমানে ব্যাংকটির গ্রাহক সংখ্যা ৯ শতাধিক। আনসসার ভিডিপি সদস্যদের ব্যাংকের সাথে সম্পৃক্ত করে তাদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে ব্যাংকটির যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এর চিত্র একবারেই ভিন্ন। বিশেষ করে ম্যানেজার আজগার আলী যোগদানের পর পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে ওঠে।কেশবপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সখিনা বেগম জানিয়েছেন, ম্যানেজারের আচার ব্যবহার খুবই খারাপ।তিনি আসার পর গরীব আনসার সদস্যরা ওই ব্যাংক থেকে নুন্যতম কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। ৯ শতাংশ হারে সুদ নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি ১৫ শতাংশ হারে সুদ আদায় করেছে। যার কারণে ব্যাংকে বর্তমান ৯০ শতাংশ গ্রাহক ঋণ খেলাপি। সর্বশেষ করোনার মহামারির সময় সরকারে ৫ শতাংশ সুদে প্রণোদনা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যাপক নয় ছয়ের অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ব্যাংকের শর্তানুযায়ী কোন খেলাপী সদস্যকে ঋন প্রদান করা যাবেনা। কিন্তু তিনি উৎকোচ নিয়ে ১০ থেকে ১৫ বছর খেলাপীদের ঋন প্রদান করেছেন। এসব অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেন ব্যাংকের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে ম্যানেজার আজগার আলীকে বদলি করে ঢাকা সদর দপ্তরের অ্যসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মঞ্জুরুল হককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মঙ্গলবার তিনি সরেজমিন তদন্তে কেশবপুরে আসেন। এদিন তিনি বাসুদেবসহ কয়েকজনের বক্তব্য গ্রহণ করেন। এসময় তারা খুলনার রিজিওনাল ম্যানেজার (আর এম) জিএম হাফিজুর রহমান এসব অনিয়ম দুর্নীতির প্রধান নায়ক বলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একই সাথে ব্যাংকের গ্রাহক বাসুদেবের কাছ থেকে চেকে জোর করে স্বক্ষর করিয়ে নেওয়া ৯০ হাজার টাকা এবং ভিভিন্ন সময়ে গ্রহণ করা উৎকোচের টাকা ফেরত দাবি করেন। এব্যাপারে অ্যসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মঞ্জুরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগ প্রমানিত হলে কেউ ছাড় পাবেন না। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।