যশোর প্রতিনিধি: যশোরে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে নারী পুলিশ সদস্য ফারজানা আক্তার আত্মহত্যার চেষ্টা মামলার রায়ে খালাশ পেয়েছেন দুইজন। নিজ বাহনীর সদস্যের দায়ের করা মামলার রায়ে দুজন খালাশ পান। মামলায় আত্মহত্যার সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছিলো পুলিশের নায়েক আসিফ জামানের বিরুদ্ধে । জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দিন হোসাইন স্বাক্ষ্য প্রমান না পওয়ায় এ রায় প্রদান করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
খালাস প্রাপ্ত ফারজানা ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের আইয়ূব আলীর মেয়ে ও খবির মন্ডলের স্ত্রী। আটকের সময় তিনি মেহেরপুর পুলিশ লাইনের নারী নায়েক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আসিফ জামান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার রতনপুর গ্রামের জহির রায়হানের ছেলে । আটকের সময় তিনি যশোর পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
মাসলার বিবারনে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ জুলাই কোতয়ালি মডেল থানার এসআই মোকলেছুজ্জামান মামলায় উল্লেখ করেন, একই সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর নারী নায়েক ফারজানা আক্তার শহরের দড়াটানা মোড়স্থ নতুন তৈরীকৃত রাস্তায় ভৈরব নদীর পাড়ে ফুটপাত থেকে ইঁদুর মারার ঔষধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। সেখান থেকে পুরুষ নায়েক আসিফ জামান ফারজানা আক্তারকে তুলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তি খাতায় ফারজানা আক্তারের স্বামীর নাম আসিফ জামান লেখেন। পরবর্তীতে জানতে পারেন ফারজানা আক্তারের সাথে আসিফ জামানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই দিন ফারজানা আক্তার মেহেরপুর থেকে যশোর পালবাড়ী আসে। সেখানে আসিফ জামানের সাথে কথা কাটাকাটি হলে সে রাগ করে শহরের দড়াটানা এলাকায় আসে। ফুটপাত থেকে ইঁদুর মারার ঔষধ সেবন করে। আসিফ জামান ফারজানা আক্তারকে আত্মহত্যা করতে সহয়তার অপরাধ করেছে বিধায় তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে ৩০৯/১০৯ পেনাল কোড আইনে মামলা রুজু করেন। রোববার আদালত মামলার রায় প্রকাশের দিন দুই জনকে খালাশ প্রদান করেন।