যশোরে সেনা বাহিনীর চাকুরির ভূয়া নিয়োগপত্র দেওয়ায় প্রতারক গ্রেফতার 

যশোর প্রতিনিধি:
একটি প্রতারক চক্র সেনা বাহিনীর মালী পদে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে নগদ ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে ভূয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ প্রতারক চক্রের প্রধান কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। সে যশোর সদর উপজেলা গহেরপুর গ্রামের মৃত বাক্কার মোল্যার ছেলে। মামলায় পলাতক আসামীরা হচ্ছে, কামাল হোসেনের সহযোগী সেনা বাহিনীর বড় অফিসার হিসেবে পরিচয়কারী বিপুল হাসান ও পিন্টুসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
যশোর সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত সাখাওয়াত আলী লস্করের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে শনিবার ৭ আগষ্ট দিবাগত গভীর রাতে উক্ত আসামীদের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করেন, বাদির ছেলে মধু হোসেনকে সেনা বাহিনীর মালি পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে কামাল হোসেন বাদির কাছে ৬লাখ টাকা চায়। বাদি গরীব মানুষ হওয়ায় ছেলের সরকারী চাকুরী হলে বাদিসহ তার পরিবারের অনেক উপকার হওয়ার আশা করে কামাল হোসেনের মাধ্যমে ৬লাখ টাকার বিনিময়ে চাকুরী নিতে চায়। এ ব্যাপারে বাদী কামাল হোসেনের সাথে কথা বললে সে গত বছরের ৩ জুলাই দুপুর দেড়টায় বাদির বাড়িতে এসে দেড়শ’ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে শর্ত সাপেক্ষে উক্ত স্ট্যাম্পে উল্লেখ করেন যে, ভূয়া নিয়োগপত্র দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আরো উল্লেখ করা হয় যে, ভূয়া নিয়োগপত্র দালিখ করলে ৭ দিনের মধ্যে ৬লাখ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে মর্মে বাদির কাছ থেকে ৩জুলাই দুপুরে কামাল হোসেন ৬লাখ টাকা গ্রহন করে। টাকা গ্রহনের পর বাদির ছেলে মধুকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ঢাকাতে নিয়ে যায়। কিন্তু কোন কাজ হয়না। এক পর্যায়ে গত বছরের ৯জুন বাদির ছেলেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ভিতর নিয়ে বিপুল নামে একজন লোককে দেখিয়ে বলে তিনি সেনা বাহিনীর বড় অফিসার। সে তোমাকে চাকুরী দিয়েছে। এভাবে বিভিন্নভাবে কৌশল নিয়ে ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে গত বছরের ৫ জুলাই বাদির ছেলেকে যোগদানের তারিখ উল্লেখ পূর্বক মালী  পদে ভূয়া নিয়োগপত্রসহ একটি ভূয়া আইডি কার্ড প্রদান করে মধুর কাছে এবং সেখানে ৭দিন অবস্থান করানোর পর পরে যশোর ক্যান্টনমেন্টে বদলী করে দিবে মর্মে মধুকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত মধুকে চাকুরীতে যোগদান করাতে পারে নাই। বাদি পরবর্তীতে জানতে পারেন কামাল হোসেন বাদির ছেলেকে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেছেন। তাই চাকুরীতে যোগদান করাতে পারছেন না। পরে কামাল হোসেনের কাছে ৬লাখ টাকা ফেরত চাইলে সে ১০ দিনের সময় নেয়। সময় পার হলেও টাকা না দিয়ে  একেরপর সময় ও তারিখ দেয় বাদিকে। বাদি উপায়ুন্তর না পেয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার পড়েন জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের। ডিবি পুলিশ প্রতারক কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে । রোববার ৮ আগষ্ট তাকে আদালতে সোপর্দ করে।