কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্ত্রীর উপর প্রতিশোধ নিতে শালিকাকে অপহরণ ও জোড় পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ অপহৃত শালিকাকে উদ্ধার ও দুলাভাইকে আটক করেছে পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের পিছনে বাদশার বাড়ি থেকে।
অপহরণকারী পান্টি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও পান্টি বাগবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪০)।
আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী জানান, তিনি ছিলেন তার স্বামীর তৃতীয় স্ত্রী। কিছুদিন পূর্বে তিনি জানতে পারেন তার স্বামীর আরেকটি বিয়ের কথা। এবং তার ৭ম শ্রেণির বোনের প্রতি তার স্বামীর খারাপ নজর টের পেয়ে তিনি গত জুন মাসে তালাক দিয়ে দেন। তালাকের পর থেকেই তার স্বামী প্রতিশোধ নেবার সুযোগ খুঁজতে থাকে এবং গত ৮ জুলাই রাতে টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে তার বোন নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে রাজ্জাককে বহু অনুরোধ করলেও সে স্বীকার করেনি তার বোন নিখোঁজ হবার বিষয়ে সে কিছু জানে কিনা? যে কারণে ১২ জুন একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় কুমারখালী থানায় এবং তারই সুত্র ধরে শুক্রবার পুলিশ তার বোনকে ২২ দিন পর উদ্ধার করে।
অপহৃতের মা বলেন, রাজ্জাক মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম ও লম্পট চরিত্রের হওয়ায় তার মেয়ে ২৩ জুন তাকে তালাক দেয়। একারণে গত ৮ জুলাই তার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট মেয়েকে তুলে নিয়ে আত্মগোপন করে এবং জোরপূর্বক একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে। তিনি আরো বলেন, থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ২২ দিন পর অপহরণকারী রাজ্জাককে আটক ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।