যশোরের মণিরামপুরে সানজিদা আক্তার লিমা (১৪) নামে এক কিশোরী বধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৮ জুলাই) রাত আটটার দিকে উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এরপর গৃহবধূর লাশ ফেলে পালিয়ে যান স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সবাই।
খবর পেয়ে মধ্যরাতে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। লাশের গলায় বামপাশে কালো দাগ রয়েছে।
কিশোরীর বাবা বাবুল হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। একমাস আগে জামাইয়ের সাথে আমার দ্বন্দ্ব হয়। পরে মিটমাট করে তারা মেয়ে নিয়ে যায়। তখন থেকে তাদের সাথে আমার বনিবনা ছিল না। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। আমি থানায় মামলা করবো।’
সানজিদা শ্যামকুড় গ্রামের চা বিক্রেতা ওমর ফারুকের স্ত্রী। গেল বছর ঈদুল আজহার কয়দিন আগে তার বিয়ে হয়েছিল। সানজিদা তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ছয় মাস আগে স্বামীর বাড়িতে পা রাখে সে। তার বাবা ও স্বামীর বাড়ি একই গ্রামে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ‘রোববার রাত আটটার দিকে গ্রাম্য চিকিৎসক মোস্তফা কামালকে ডেকে আনে ওমর ফারুক। ডাক্তার এসে ঘরের খাটের ওপর সানজিদাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছে। এরপর ওমর ফারুকসহ বাড়ির সবাই লাশ ফেলে পালিয়েছে।
মণিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক আক্তারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে না। লাশের গলায় আঁচড়ের দাগ রয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যশোরে কিশোরী বধূর লাশ বাড়িতে ফেলে পালালো স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির সবাই
যশোর প্রতিনিধি