ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের স্কুলছাত্র এহতেশাম মাহমুদ রাতুল হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে যশোর ডিবি পুলিশ।
ডিবি বলছে, শ্বশুরের দ্বারা অপমানের প্রতিশোধ নিতে শ্যালক রাতুলকে হত্যা করে ভগ্নিপতি শিশির আহমেদ (১৯)। গত শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জাহাঙ্গীর আলম।
আটক শিশির আহমেদ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের হায়দার আলী মণ্ডলের ছেলে।
ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বলা হয়, প্রায় এক বছর আগে বাজিপোতা গ্রামের মহিউদ্দিনের মেয়ে মাহমুদা মমতাজ মিমকে ভালোবেসে বিয়ে করে শিশির। কিন্তু এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি মহিউদ্দিন। একদিন তিনি শিশিরকে ডেকে বকাঝকা করেন, অপদস্ত করেন। এর প্রতিশোধ নিতে শিশির তার শ্যালক রাতুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ১১ জুলাই শিশির তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন থেকে রিং করে রাতুলকে ডেকে আনে চৌগাছায়। বেড়ানোর কথা বলে তাকে ডেকে এনে নিয়ে যায় চৌগাছার লস্করপুর শ্মশান মাঠের একটি পাটক্ষেতে। সেখানে গাঁজা সেবন এবং কোমল পানীয়র মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে রাতুলকে পান করতে দেওয়া হয়। এরপর রাতুল অচেতন হয়ে পড়লে শিশির তার নাক মুখে স্কচটেপ দিয়ে মুড়িয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বাড়ি ফিরে রাতুলের মোবাইল ফোন ঘরে লুকিয়ে রেখে শিশির বাবার ট্রাকে চেপে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় পালিয়ে যায়। তার বাবা ট্রাকচালক।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখ) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাতুল হত্যা মামলাটি ছিল ক্লুলেস। মামলাটি ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ও সোর্সের মাধ্যমে অভিযুক্তকে শনাক্তের পর তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘর থেকে রাতুলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) বেলাল হোসাইন, ডিবি পুলিশের ওসি রূপনকুমার সরকার, এসআই মফিজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসেন জানান, ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত ছিল কি না জানতে আটক শিশিরকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
স্কুলছাত্র রাতুল হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি যশোর ডিবি পুলিশ
যশোর প্রতিনিধি