যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় ১১ জন বন্দি’র বিরুদ্ধে মামলা

যশোর প্রতিনিধি
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১১ জন ‘বন্দি’র বিরুদ্ধে মামলাটি করেন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) জাকির হোসেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জন ‘বন্দি’কে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ‘বন্দি’রা হলো, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের খেঁজুরবাগ এলাকার কমল মজুমদারের ছেলে রাধা মজুমদার, খুলনার চানমারি বাজার এলাকার আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আহাদ, ফরিদপুরের মধ্য আলীপুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন, শেনকাইল গ্রামের সাদেক শেখের ছেলে তানজীদ শেখ, রংপুরের কাউনিয়া পূর্ব চানঘাট এলাকার ইদ্রিস আলী ওরফে মাজেদুলের ছেলে সাগর মিয়া, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের ইকতার আলী বিশ্বাসের ছেলে সাকিব হোসেন, রাজশাহীর বোয়ালিয়ার বালিয়াপুকুর বড় বটতলা এলাকার বাবুলের ছেলে সাব্বির হোসেন, খুলনার সোনাডাঙ্গার জামাল হাওলাদারের ছেলে আবু সাঈদ ওরফে আসিফ ওরফে হাসিব, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর পুইশুর এলাকার বাদশা শিকদারের ছেলে শাহ আলম শিকদার, মেহেরপুরের গাংনীর নওদাপাড়া গ্রামের বায়েছ উদ্দীনের ছেলে সজীব আহম্মেদ এবং কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ছাত্রা গ্রামের মোবার ছেলে উজ্জ্বল।
মামলায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) জাকির হোসেন অভিযুক্ত ‘বন্দি’দের বিরুদ্ধে সিসি ক্যামেরা, বৈদ্যুতিক বাল্ব, টেলিভিশন, আসবাবপত্র, দরজা, জানালা, কোলাপসিবল গেট ইত্যাদি ভাঙচুরের
অভিযোগ এনেছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ লাখ টাকা বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কোতয়ালী থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম ভাঙচুরের ঘটনায় বন্দিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১০ জুলাই রাতে বন্দিরা বিভিন্ন দাবিতে শিশু উন্নায়ন কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর করে৷
পরে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের নিরস্ত করেন। এই কেন্দ্রে কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পুরনো। এমনকি তিন ‘বন্দি’কে পিটিয়ে মারার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।