যশোর প্রতিনিধি:
প্রকাশ্যে ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে কৌশলে চালককে সেভেন আপের সাথে চেতনা নাশক জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে ইজিবাইক নিয়ে পালাবার কাছে জনি হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে স্থানীয় জনগন ধরে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। আটক জনি হোসেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কাশিপুর মির্জাপুর গ্রামের বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি বাবলাতলা উপলের বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল মজিদের ছেলে। এসময় তার সহযোগী যশোর শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়ার হাসানসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন পালিয়ে গেছে।
যশোরের চৌগাছা উপজেলার গরীবপুর গ্রামের বোরাক আলীর ছেলে ইমদাদুল হক সোমবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় উক্ত দু’জন আসামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন,তার কেনা ১লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ইজিবাইক তার ভাইপো আলমগীর হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার ২১ জুন সকালে ইজিবাইক নিয়ে চালানোর উদ্দেশ্যে বাহির হয়। পরবর্তীতে বাদি জানতে পারেন ভাইপো আব্দুল্লাহ অসুস্থ্য হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতলে পৌছে ভাইপোর কাছে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানতে পারেন,সোমবার ২১ জুন দুপুর পৌনে ২ টায় চৌগাছা সুলয়া বাজার হতে উক্ত আসামীদ্বয়কে নিয়ে পালবাড়ী মোড়ে আসার পথিমধ্যে বেলতলা মোড় নামকস্থান হতে ইজিবাইক চালক আব্দুল্লাহকে উক্ত আসামীরা সেভেনআপ খাওয়ায়। উক্ত স্থান হতে পুনরায় ইজিবাইক চালককে আসামীদের নিয়ে পালবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে চুড়ামনকাঠি বাজার পার হওয়ার পর সে ইজিবাইক চালাতে অস্বস্তিবোধ করে। তখন বুঝতে পারে আসামীরা সু-কৌশলে সেভেন আপের সাথে চেতনা নাশক জাতীয় মিশিয়ে খাওয়াছে। ইজিবাইক চালক ইজিবাইক চালাতে অপারগতা প্রকশ করে। আসামীরা তাকে জোরপূর্বক ইজি বাইক চালাতে বাধ্য করে। আব্দুল্লাহকে ইজিবাইকসহ দুপুর সোয়া ২ টায় যশোর ঝিনাইদহ মহাসড়স্থ যশোর ফিলিং ষ্টেশন পার হয়ে ফাঁকা জায়গায় অজ্ঞাতনামা আরো আসামীদের সহায়তায় আব্দুল্লাহকে জোর পূর্বক ইজিবাইক হতে নামিয়ে ইজিবাইক নিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল্লাহ ডাক চিৎকার দেয়। চিৎকারে স্থানীয় মেম্বর মিলনসহ আরো লোকজন এগিয়ে এসে জনি হোসেনকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে ইজিবাইক উদ্ধার করে। জনি হোসেনের সহযোগী শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়ার হাসানসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন পালিয়ে যায়। ইজিবাইকসহ আটক জনি হোসেনকে স্থানীয় লোকজন গনপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। মঙ্গলবার ২২ জুন দুপুরে গ্রেফতাকৃত দু’জনকে আদালতে সোপর্দ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা