টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে ঘাটাইল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ইমামের নাম কেরামত আলী (৬০) ওরফে কেরামত।
গত শুক্রবার উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের গারট্র উত্তরপাড়া গ্রামের মসজিদের ওই ইমামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঘাটাইল থানায় মামলা করেছেন অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরীর বাবা। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে অভিযুক্ত কেরামত আলীকে গ্রেপ্তার করে ঘাটাইল থানা পুলিশ।
ঘাটাইল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মেরাজুল ইসলাম রুবেল বলেন, শনিবার আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত ইমামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, কেরামত আলীর বাড়ি জেলার ঘাটাইলের পাশের উপজেলা মধুপুরের আইনাতকারী বাসস্ট্যান্ডে। গারট্র উত্তরপাড়া গ্রামে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সুবাদে সবার সঙ্গে আগে থেকেই একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। দুই বছর আগে মসজিদ কমিটি তাকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি মসজিদের ভেতর গ্রামের ছোট ছেলে মেয়েদের প্রতিদিন সকালে কোরআন শিক্ষা দিতেন তিনি। এভাবেই পেরিয়ে গেছে ইমামতির দুই বছর। হঠাৎ করেই গত ২৮ মে তিনি জানিয়ে দেন আর এ মসজিদে ইমামতি করবেন না। বিদায় নিয়ে চলে যান।
এদিকে তিনদিন আগে কিশোরী মেয়ের অস্বাভাবিক শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তার পরিবার। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সব ঘটনা খুলে বলে। পরে ইমাম কেরামত আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন কিশোরীর বাবা।
অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী জানায়, পাঁচ মাস আগে একদিন সকালবেলা মক্তবের কোরআন পড়া শেষ হলে অন্যরা বাড়ি চলে যায়। এসময় হুজুর তাকে মুখ বেঁধে মসজিদের বারান্দায় ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য তিনি বলেন।
ভুক্তভোগী আরও বলেন, হুজুর চলে যাওয়ার সময় বলে গেছেন আমাকে হুজুরের বাড়ি নিয়ে যাবেন এবং আমার নামে জমি লিখে দেবেন।
এদিকে কেরামত আলীর মেয়ের জামাইয়ের বড় ভাই আবু হানিফ বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তিনি ঢাকার একটি মসজিদে ইমাম থাকাকালীন একই ধরনের কাজ করেছিলেন। পরে সেখান থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রামের বাড়িতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের বোনকে হত্যা করেছিলেন এ ইমাম। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।