পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে শাকিল আহমেদ (৩২) নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী মিম খাতুনকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ মে) রাত ১২টার দিকে পৌর এলাকায় ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনে রূপনগরের (মাহাতাব কলোনী) একটি ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুরের দুবলিয়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে ও ঈশ্বরদী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মিম খাতুন ও তার শ্যালক সাব্বিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
শাকিলের মামা মুলাডুলির ইউপি মেম্বার তারা মালিথা বলেন, পতিরাজপুর গ্রামের নিজের বাড়ি ছেড়ে শাকিল ১০ দিন আগে শহরের কলেজ রোডের সামনে একটি বাড়ির দোতলা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভাগিনা শাকিলের ফোন থেকে তার স্ত্রী আমাকে ফোন করে জানান, শাকিল কথা বলছে না। পরে এলাকার আত্মীয়স্বজন এসে দেখতে পান মিম মৃত শাকিলকে সামনে নিয়ে বসে রয়েছেন। এসময় উপস্থিত লোকজন শাকিলের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে মিম বলেন, ‘৪-৫ জন এসে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে চলে গেছে। সে বাধা দিলে তাকেও লাথি মেরেছে।
বাড়ির মালিক আহসান হাবিব মিতু বলেন, শুক্রবার শাকিল অসুস্থ ছিলেন বলে তার স্ত্রী মিম আমাদের জানায়, কিন্তু আমরা তাকে দেখার জন্য বাসায় গেলে ‘শাকিল ঘুমিয়ে আছেন’ বলে জানালে আমরা দরজা থেকেই ফিরে আসি। রাতে শব্দ পেয়ে দোতলায় তাদের বাসায় গিয়ে দেখি মিম হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছেন, আর বিছানায় শাকিল নিথর অবস্থায় শুয়ে আছেন। তিনি এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করেছেন।
ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী বলেন, শাকিল একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার মৃত্যুর জন্য যেই দায়ি হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর বলেন, নিহত শাকিলের স্ত্রী মিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এখনই এ ঘটনা সম্পর্কে কোন কিছু বলা সম্ভব নয়, তদন্ত চলছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, রহস্যজনক এ হত্যার ঘটনার পরেই গোয়েন্দা পুলিশের ফরেনসিক টিম মরদেহ ও ঘটনাস্থল পরীক্ষা এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। তদন্ত টিমের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানাতে পারবো।