ইমামের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে পড়ে তৃতীয় স্বামীকে হত্যা করে আসমা

 

রাজধানীর দক্ষিণখানে মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে নিখোঁজ যুবকের ছয় টুকরা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় আজহারের স্ত্রী আসমা আক্তার ও মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, আজহারকে হত্যার পর ইমামের সঙ্গে চতুর্থ সংসার করতে চেয়েছিলেন আসমা। তাই তার পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। আসমা ইমাম আব্দুর রহমানকে প্রায়ই বলতেন, আজহারকে হত্যা করতে না পারলে তিনি নিজেই আত্মহত্যা করবেন অথবা ইমামকে হত্যা করবেন।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা র‌্যাব সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

জানা গেছে, ভিকটিম আজহারুল ছিলেন আসমা আক্তারের তৃতীয় স্বামী। আসমা আক্তার আরও দু’টি বিয়ে করেছিলেন। আসমা আক্তারের দ্বিতীয় স্বামী ছিলেন ভুক্তভোগী আজহারুলের বড় ভাই। তাদের মধ্যে ২০১৫ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। গোপনে আসমা আক্তারের সঙ্গে আজহারুলের পরকীয়া সম্পর্ক হয়।পরে সম্পর্কের জেরে তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে আসমা আক্তারের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে আসমা আক্তার পালিয়ে আজহারুলেরকে বিয়ে করেন। সেই সংসারে থেকেই মসজিদের ইমামের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে পড়েন আসমা। যার জের শেষ পর্যন্ত তৃতীয় স্বামীকে হত্যা করেন তিনি।