মাধঘোপা নিউজ ডেক্স: প্রেমের জালে ফেলে ৩৫ মহিলাকে বিয়ে করেছেন এই যুবক। তিন-চার জন নয়, একেবারে পঁয়ত্রিশ জনকে বিয়ে করেছেন। অনেক মহিলার সঙ্গে সহবাস করারও অভিযোগ রয়েছে। যুবকের নাম রাকেশ রায় চৌধুরী। তারই এক স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সিঙ্গুর থানায়। বিধাননগরের এক হোটেল থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তারের পর চন্দননগর মহকুমা আদালত পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।রোববার (২৩ মে) সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। জানা গেছে, রাকেশের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক দ্বারা অনেক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয়। কারও কাছে নিজেকে সরকারি চাকরিজীবী, কারও কাছে পর্যটন ব্যবসার মালিক- এসব বলে পরিচয় দিতেন। মহিলারা এসব পরিচয়ে আকৃষ্ট হতেন। রাকেশ বিয়ের প্রস্তাব দিতেন আর মহিলারা সেই প্রস্তাব নামের ফাঁদে পা দিতেন। কিন্তু এরপর রাকেশ তাদের কাউকে বিয়ে করতেন আবার কাউকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করতেন। এসব বিয়ের জায়গাও ভিন্ন ভিন্ন ছিল।
এভাবেই দমদমের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় রাকেশের। তার কাছে বিশাল পর্যটন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলে পরিচয় দেয় নিজেকে। দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও হয়। এরপর রাকেশ তার পাতানো আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে তরুণীকে সিঙ্গুরে নিয়ে এসে বিয়ে করেন। সেখানে ভাড়া বাসায় কয়েক মাস থাকেন। কিন্তু কিছুদিন পর তরুণী রাকেশের বিষয়ে সব জানতে পারেন। কিন্তু রাকেশ স্ত্রীর এই বিষয়টি বুঝতে পেরে তার ওপর অমানবিক অত্যাচার শুরু করেন। ফলে সিঙ্গুর থানায় রাকেশের এসব বিষয়ে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী।
সিঙ্গুর থানা পুলিশ তদন্তের পর জানতে পারে, রাকেশের বিরুদ্ধে কলকাতা ছাড়াও জেলার অন্যান্য থানায় অনেক অভিযোগ রয়েছে। সে একটি ধর্ষণ মামলায় এক বছর জেলও খেটেছে। সে কখনোই এক জায়গায় বেশি দিন থাকত না। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে এবং তার বিরুদ্ধে অন্যান্য সকল অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।