ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলতে এ মুহূর্তে ভারতের মুম্বাইয়ে টিম হোটেলে কোয়ারেন্টিনপর্ব পালন করছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ইতোমধ্যে ৫ দিনের বন্দিজীবন শেষ করেছেন।
অর্থাৎ অফুরন্ত সময় এখন তার হাতে। অবশ্য কোয়ারেন্টিনের একঘেয়েমি কাটাতে দেশের গণমাধ্যমে ও ফেসবুক লাইভে যোগ দিচ্ছেন সাকিব।
শুক্রবার মোবাইল ফোনে এক গণমাধ্যমে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন সাকিব।
সেখানে দেশের হয়ে টেস্ট সিরিজে অংশ না নিয়ে আইপিএল খেলতে যাওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। আইপিএলে অর্থের প্রভাব বেশি বিষয়টাও টেনে আনেন সাংবাদিক।
এক পর্যায়ে সাকিবকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক, লোকে তো বলে আপনার শত শত কোটি টাকা!
প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই সাকিব হেসে জবাব দেওয়া শুরু করেন।
অনেকটা মজার ছলে বলেন, যারা এমনটা বলেন তারা যদি দেখিয়ে দেন যে কোথায় আমার এতো টাকা তাহলে তো সুবিধা হয়। অবশ্য মানুষের এমন সব কথায় আমি মন খারাপ করি না। তারা আমার স্বপ্নটাকে বড় করে দেয়। তারা ভাবে যে, আমার অনেক টাকা। এটা আমার জন্য খুশির বিষয়। তবে তারা একটা-দুইটা শূন্য বেশি লাগিয়ে বলে আর কী।
এরপরই কিছুটা ক্ষোভের সুর সাকিবের কণ্ঠে। সে সব মন্তব্যকারীর উদ্দেশে একগাঁদা প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাকিব।
বলেন, ‘বাংলাদেশের মার্কেট কত বড়? বাংলাদেশে একটা বিজ্ঞাপন করে কত টাকা পেতে পারেন? ১৫, ২০, ২৫ বা ৫০ লাখ? কয়টা ম্যাচ খেলতে পারেন? কয় টাকা আয় হয়? বোর্ড থেকে কত বেতন, ম্যাচ ফি, এসব তো সবাই জানেন। যারা আমার আয় নিয়ে এমন কথা বলেন তাদের কমনসেন্স থাকা উচিত। তাছাড়া আমাদের খরচও তো অনেক। কত থাকে তার পর?’
বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা কেন তাকে শত শত কোটি টাকার মালিক ভাবেন তার ব্যাখ্যাও দেন সাকিব।
বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা ভাবেন, আমাদের আয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের মতো। সাংবাদিকরা নিউজ করেন, অমুক দেশের তমুক ক্রিকেটার এত মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে। ওই নিউজ দেখে লোকে আমাকে ওই লেভেলের ভাবে। কিন্তু এটা চিন্তা করে দেখে না, ভারতে কোনো ক্রিকেটার যদি একটা চকলেটের বিজ্ঞাপন করে, তাকে যদি ৫০ কোটি টাকাও দেওয়া হয় তবু পুষিয়ে যায়। কারণ তাদের বাজার অনেক বড়। লোকে দেখে বিরাট কোহলি ১০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। তখন মনে করে, সাকিবেরও এরকম। তারা বোঝেন না, এটা আসলে ১০ লাখ টাকা!’